Wellcome to National Portal
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত তথ্য

মন্ত্রণালয় সৃষ্টির পটভূমি

  • স্বাধীনতা উত্তর বন, মৎস্য ও পশুপালন নামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ ছিল
  • ১৯৭৮ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা হয়ে মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয় গঠন, ১৯৮৪ সালে পুনরায় মৎস্য ও পশুপালন বিভাগ নামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভাগে পরিণত হয়
  • ১৯৮৬ সালে পুনরায় মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয় নামে পুনর্গঠিত হয়
  • ১৯৮৯ সালে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সর্বশেষ ২০০৯ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হিসেবে নামকরণ করা হয়

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভিশন ও মিশন

রূপকল্প (Vision)

সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ

অভিলক্ষ্য (Mission)

মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণ

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা (০৮ টি)

 

  • মৎস্য অধিদপ্তর
  • প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
  • বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন
  • বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট
  • বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনষ্টিটিউট
  • মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
  • মেরিন ফিশারিজ একাডেমি
  • বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল

 

বিগত ৫ বছরে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন (২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩)

 

 

২০১৮-১৯

২০১৯-২০

২০২০-২১

২০২১-২২

২০২২-২৩

মাছ

৪৩.৮৪

৪৫.০৩

৪৬.২১

৪৭.৫৯

৪৯.১৫

মাংস

৭৫.১৪

৭৬.৭৫

৮৪.৪০

৯২.৬৫

৮৭.১০

দুধ

৯৯.২৩

১০৬.৮০

১১৯.৮৫

১৩০.৭৪

১৪০.৬৮

ডিম

১৭১১.০০

১৭৩৬.০০

২০৫৭.৬৪

২৩৩৫.৩৫

২৩৩৭.৬৩

 

বিগত ৫ বছরে জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন (২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩)

 

 

২০১৮-১৯

২০১৯-২০

২০২০-২১

২০২১-২২

২০২২-২৩

ইলিশ

৫.৩৩

৫.৫০

৫.৬৫

৫.৬৭

৫.৭১

 

  • মৎস্য খাতে প্রায় ১২ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা উপার্জনে জড়িত;
  • প্রাণিসম্পদ খাতে ২০% প্রত্যক্ষ এবং ৫০% পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে;
  • জাতীয় মাছ ইলিশ এবং বাগদা চিংড়ি ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (GI) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে;
  • ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (Geographical Index) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে;

 

বিগত ৫ বছরে জিডিপিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান (২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩)

 

খাত

 

২০১৮-১৯

২০১৯-২০

২০২০-২১

২০২১-২২

২০২২-২৩

মৎস্য খাত

জিডিপি

২.৭০

২.৭১

২.৬৪

২.৫৩

২.৪১

কৃষিজ জিডিপি

২১.৫০

২১.৬৫

২১.৮৭

২১.৭৯

২১.৫২

জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার

৪.৯৯

৪.৪০

৪.১১

২.৬৪

১.১৪

জিডিপি’র আয়তন (চলতি বাজার মূল্যে)

৭৭১৩৬

৮৪২১৬

৯১৮২২

৯৯০২০

১০৭৬৭২

প্রাণিসম্পদ খাত

জিডিপি

২.০৭

২.০৬

১.৯৮

১.৯১

১.৮৫

কৃষিজ জিডিপি

১৬.৪৮

১৬.৪৫

১৬.৪০

১৬.৪৫

১৬.৫২

জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার

৩.০১

৩.১৯

২.৯৪

৩.১০

৩.২৩

জিডিপি’র আয়তন (চলতি বাজার মূল্যে)

৫৬২৯০

৫৯৭১৫

৬৩২৯৩

৬৭৩৯৯

৭৩৫৭১

মোট জিডিপি এবং মোট কৃষিজ জিডিপি’তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান

৪.৭৭

৪.৭৭

৪.৬২

৪.৪৪

৪.২৬

৩৭.৯৮

৩৮.১০

৩৮.২৭

৩৮.২৪

৩৮.০৪

 

ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গৃহীত কার্যক্রমঃ

 

  1. বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য প্রতিবছর ২০মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় ১৪ জেলায় মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় ৩০ দিনের জন্য ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা (চাল) প্রদান করা হয়।
  2. মা ইলিশ রক্ষার্থে  প্রতিবছর অক্টোবর মাসে ২২দিন সারাদেশে সব ধরণের মাছ বন্ধ থাকে। এ সময় ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা (চাল) প্রদান করা হয়।
  3. জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইলিশের অভয়াশ্রম গুলোতে ৪ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত মৎস্যজীবী/জেলেদের মাসিক ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
  4.  মাছ ধরা বন্ধকালীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২,২৬,৮১৮টি জেলে পরিবারকে প্রায় ৯৮,৩৬২.৫৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ভিজিএফ হিসেবে দেয়া হয়েছে এবং চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর/২০২৩ পর্যন্ত ১২,৫৩,৭৭১টি জেলে পরিবারকে ৫২,৬২৪.৭৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ভিজিএফ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
  5. তাছাড়া মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতিবছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে চার ধাপে মোট ৩০ দিন ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়।
  6. জেলে নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে জেলে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের আওতায় ১৬ লক্ষ জেলের নিবন্ধন করা হয় এবং ১৪ লক্ষ জেলেকে জেলে নিবন্ধন কার্ড বিতরণ করা হয়।
  7. বর্তমানে রাজস্ব খাতের আওতায় জেলেদের নিবন্ধন হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিবন্ধিত মোট জেলের সংখ্যা ১৮,০১,৩৭৭ জন। খুব শীঘ্রই প্রায় দেড় লক্ষাধিক জেলের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হবে।

 

বাজেট সংক্রান্ত তথ্য

 

ব্যয় খাত

২০২৩-২৪ এডিপি

সংশোধিত বাজেট (প্রস্তাবিত)

২০২৪-২৫ এডিপি (প্রস্তাবিত)

পরিচালন বরাদ্দ

১৮১২৭৩.২১

১৮০০৩২.৬৪

১৯১৫৫৪.০০

উন্নয়ন বরাদ্দ

২৪২৭১৫.০০

২২৬২৭৯.০০

২৩৫৫৬৭.০০

মোট

৪২৩৯৮৮.২১

৪০৬৩১১.৬৪

৪২৭১২১.০০

 

কোভিড-১৯ চলাকালীন বিশেষ উদ্যোগ

 

  • ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের মধ্যে ৬,৭৯,৭৭১ জন খামারীকে ৮১৮.৮৩ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
  • মহামারি চলাকালীন ১,৫৫,৯৭২ জনকে ৮৪ কোটি টাকার উৎপাদন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩,০৮১ জন খামারিকে ১৪৪৩ কোটি টাকা সহজশর্তে ঋণ সহায়তা দেয়া হযেছে।
  • খামারীদের উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সংগ্রহ করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৯৫০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় করা  হয়েছে।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা/টার্গেটঃ

 

  • মৎস্যচাষ উৎপাদন টেকসই ও বহুমুখী করার জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও মৎস্যচাষের উলম্ব বিস্তারে প্রধান অগ্রাধিকার দান;
  • মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট সুনীল অর্থনীতির তৎপরতা থেকে সুফল আহরণের জন্য যৌথ সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা;
  • মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মূল্য শৃঙ্খলের (Value chain) জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণ করা;
  • উন্নত চাষ প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষক/উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা;
  • আধুনিক ল্যাবরেটরি ও প্রসেসিং শিল্প স্থাপনা পরিচালনার জন্য উন্নত দক্ষতাসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তোলা;
  • প্রশিক্ষণ ও মাঠ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়/গরিব মৎস্যচাষীদের জন্য মৎস্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও অভিযোজনমূলক মৎস্যচাষ প্রযুক্তির প্রবর্তন করা;
  • জেলে সম্প্রদায় যেহেতু একান্তভাবেই জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যার পরিবেশ অতীব অরক্ষিত ও ভঙ্গুর, তাই তাদের জীবিকা/উপজীবিকার ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনা/গুরুত্বদান করা হবে।
  • মিঠা পানি ও সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমে মৎস্য আহরণ ও ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা
  • ফিশ বল, ফিশ বার্গার, ফিশ পেস্ট, ফিশ স্টিক, ফিশ নুডুলস্ প্রভৃতি ম্যানুফ্যাকচারিং;
  • দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং হিম-শিকল (Cold chain) যোগাযোগ ব্যবস্থা করা;
  • প্রক্রিয়াজাত পণ্যসহ দুধ, ডিম, মাংসের টেকসই উৎপাদনে সহয়তা প্রদান;
  • অভিযোজিত গবেষণার মাধ্যমে প্রয়োজন মাফিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণকর্মী, পরিকল্পনাবিদ, পশু খামারি ও অন্যান্য অংশীজনকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি হস্তান্তর;
  • জলবায়ু সহনশীল ও সুলভ মূল্যে পশু খাদ্য ও তার উপকরণের উন্নয়ন; এবং
  • বাণিজ্যিকভিত্তিতে পশু থেকে উৎপাদিত পণ্য ও উপজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের চাহিদা তথা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ৪৯.৯৫ লক্ষ মে:টন (৭৬ গ্রাম/ দিন/ মাথাপিছু),  ৮৫.১০ লক্ষ মে:টন (১৩০ গ্রাম/ দিন/ মাথাপিছু), ১৬৩.৬০ মে:টন (২৫০ মি:লি:/ দিন/ মাথাপিছু); এবং ২২৩৯৩ (১২০টি/প্রতিবছর /জনপ্রতি