প্রকল্প ব্রীফ
|
প্রকল্পের নাম |
: |
“হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন” প্রকল্প। |
||||||||||||||||
|
উদ্যোগী মন্ত্রণালয় |
: |
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় |
||||||||||||||||
|
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
: |
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর |
||||||||||||||||
|
মোট ব্যয় (কোটি টাকা) |
: |
১১৮.১৩ (সম্পূর্ণ জিওবি) |
||||||||||||||||
|
প্রকল্পের মেয়াদ |
: |
জুলাই/২০১৯ থেকে জুন/২০২২ |
||||||||||||||||
|
প্রকল্প এলাকাঃ ৭টি জেলার ৫৩টি উপজেলার ৩৩৮টি ইউনিয়ন
|
||||||||||||||||||
|
প্রকল্পের সুফলভোগী |
: |
প্রকল্প এলকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির 51,276 টি পরিবার প্রত্যক্ষ/সরাসরি উপকৃত হবেন। |
||||||||||||||||
|
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: |
||||||||||||||||||
|
|
||||||||||||||||||
|
প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতাঃ
বেকার সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে জনগণের অথনৈতিক উন্নয়ন সাধনে গ্রহপালিত প্রাণি অনতম উপকার। হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া ও অত্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিবতনশীল জলবায়ুর সাথে সহজে অভিযোজিত হতে সকম। সুতরাং অত্র এলাকা ও তৎসংলগ্ম হাওর অঞ্চলে হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া পালন হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস্য। কিন্তু অত্র এলাকায় এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে পশুপালন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন দক্ষতা কোনটিই সন্তোষজনক নয়। রোগের প্রাদুর্ভাব, অনুন্নত প্রযুক্তি, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনার অভাব, নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও কারিগরি সেবা, অপর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞান, খামারী ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা হাওর অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রধান অন্তরায়। বিস্তৃর্ণ হাওর অঞ্চলে প্রায় ১৯.37 মিলিয়ন জনগণ বাস করে এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় 987 জন জনগণ বাস করে (BHWBD, 2012)। বাংলাদেশ হাওর ও জলভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে হাওর এলাকায় 29.56 শতাংশ জনগণ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে, যা জাতীয় গড়ের তুলনা কিছুটা বেশি (জাতীয় গড় 21.08%)। হাওর অঞ্চলের অনেক মানুষই ডেইরী ও হাঁস-মুরগি পালনের সাথে জড়িত। এ এলাকার প্রাণিসম্পদের মধ্যে প্রধানত গবাদিপশু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি উল্লেখযোগ্য। উল্লেখ্য যে, সারা দেশের মোট হাঁসের মধ্যে 24% হাঁস এই এলাকাতে রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এই এলাকার প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিরাট একটি সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ডেইরী ও হাঁস খামার স্থাপন ও প্রতিপালন। যদিও সাময়িতভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ক্ষুদ্র পরিসরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই অগ্রতুল। এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠি-কে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
|
||||||||||||||||||
|
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম
|
||||||||||||||||||
|
প্রকল্পের আউটপুট (Output):
|
||||||||||||||||||
|
প্রকলেপর ফলাফল (Outcome):
|
প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলীঃ
সুফলভোগীদের মাঝে ইনপুট বিতরণের জন্য এই প্রকল্পের সমধর্মী নিম্নোক্ত ৩টি প্রকল্প প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হতে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
(১) “উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় চরাঞ্চলে ৩৪০৬৮টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে মাঝে ৫টি প্যাকেজে (হাঁস, মুরগী, ভেড়া, কবুতর, ঘাসের প্লট প্রদর্শনী) ২টি বিভাগের ৭টি জেলার ১৬টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
(২) দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ১৪টি ইনপুট প্যাকেজের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
(3) “সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন” প্রকল্পটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র দরিদ্র নৃগোষ্ঠির মাঝে প্রাণিসম্পদ ইনপুট বিতরণ করা হবে।
(৪) পরিকল্পনা কমিশনের পিইসি সভার সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য গত ১২/১১/২০১৯ খ্রিঃ পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংলগ্নী-১
নির্বাচিত সুফলভোগী পরিবারের মাঝে প্যাকেজভিত্তিক অনুদান বিতরণঃ
ক্রমিক নং |
প্যাকেজের নাম |
সুফলভোগীদের সংখ্যা (টি) |
অনুদানের ধরণ |
মন্তব্য |
১. |
হাঁস পালন |
17975 |
15টি (১৩টি মুরগি, ২টি মোরগ) বাসস্থান, খাদ্য ভ্যাকসিন ও ঔষধ |
** অস্থায়ী ঘর নির্মাণ বাবদ প্রতি প্যাকেজে ছাগল/ভেড়ার জন্য ৬০০০/- (ছয় হাজার টাকা), হাঁস/মুরগির জন্য ৬০০০/০ (ছয় হাজার টাকা) এবং ঘাস চাষের জন্য ১০০০০/- (দশ হাজার টাকা) প্রদান করা হবে।
|
২. |
মুরগি পালন |
17480 |
15টি (১৩টি মুরগি, ২টি মোরগ) |
|
৩. |
ছাগল পালন |
5850 |
২টি ছাগী (বাসস্থান, খাদ্য ভ্যাকসিন ও ঔষধ) |
|
৪. |
ভেড়া পালন |
5865 |
২টি ভেড়া (বাসস্থান, খাদ্য ভ্যাকসিন ও ঔষধ) |
|
৫. |
ঘাস চাষ |
3380 |
3380 জন ঘাস চাষী কে ঘাসের বীজ, সার/কাটিং সহায়তা |
|
৬. |
টিকা প্রদান ও প্রাথমিক চিকিৎসা |
676 |
প্রতিটি উপজেলায় ২ জন হিসেবে মোট ৬৭৬ জন (কুল বক্স, কীট বক্স ও অন্যান্য উপকরণ) |
|
৭. |
পনির তৈরীকারী |
50 |
শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার পনির উৎপাদনকারী সুফলভোগীগণকে সহায়তা প্রদান করা হবে |
|
৮. |
সাইলেজ প্রদর্শনী প্লট |
-- |
উন্নত জাতের ঘাস দ্বারা সাইলেজ তৈরি প্রদর্শনী |
|
|
51276 জন |
|
|