Wellcome to National Portal
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd মার্চ ২০২৪

সাফল্য ও অর্জন

সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর - ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২) প্রধান অর্জনসমূহ:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ সর্বোপরি আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান অনস্বীকার্য। বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ৪৫.০৩, ৪৬.২১ ও ৪৭.৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন; মাংসের উৎপাদন ছিল ৭৬.৭৪, ৮৪.৪০ ও ৯২.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন; দুধের উৎপাদন ছিল ১০৬.৮০, ১১৯.৮৫ ও ১৩০.৭৪ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ডিমের উৎপাদন ছিল ১৭৩৬, ২০৫৭.৬৪ ও ২৩৩৫.৩৫ কোটি। দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমাণ (৬০ গ্রাম) বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫ গ্রাম-এ উন্নীত হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে মাংস, দুধ ও ডিমের জন প্রতি প্রাপ্যতা বেড়ে যথাক্রমে ১৪৭.৮৪ গ্রাম/দিন, ২০৮.৬১ মি.লি/দিন ও ১৩৬.০১ টি/বছর এ উন্নীত হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ, ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা, মৎস্য আহরণে বিরত মৎস্যজীবী জেলেদের ভিজিএফ প্রদানের ফলে ইলিশের একক ওজন ও মোট উৎপাদন সাম্প্রতিক বছরসমূহে বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে যথাক্রমে ৩৯৮৫.১৫ কোটি, ৪০৮৮.৯৬ এবং ৫১৯১.৭৫ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। বিগত তিন বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০, মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা ২০২০; পশু জবাই ও মাংসের মাননিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১ এবং সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধি, সহনশীল আহরণ, বিপণন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ করা, অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধ করা, গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য/চিংড়ির পোনা প্রাপ্তি, মৎস্য আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, উন্নত জাতের সিমেন উৎপাদন এবং মানসম্পন্ন মৎস্য ও পশু খাদ্যের অপ্রতুলতা, খাদ্যের উচ্চমূল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইত্যাদি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে প্রধান প্রধান প্রতিবন্ধক। তাছাড়া বন্যা ও কোভিড-১৯ মহামারি চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ৪৯.৯২ লক্ষ মে:টন মাছ, ১৬৩.৬০ লক্ষ মে: টন দুধ, ৮৫.১০ লক্ষ মে:টন মাংস ও ২২৩৯.৩০ কোটি ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য/চিংড়ির পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের মজুদ নিরুপণ ও সর্বোচ্চ সহনশীল আহরণ নির্ধারণ (MSY), মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে গরু-মহিষের জাত উন্নয়ন, মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্যের মান নিয়ন্ত্রন করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ, ফুড সেফটি নিশ্চিতকরণ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যাটেল ইনসুরেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তন। বন্যা ও মহামারিকালে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং মৎস্য আহরণ বন্ধকালে প্রণোদনা প্রদানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ:

  • মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের ‍উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্যাকেজের ৮০০টি প্রদর্শনী খামার স্থাপন, উন্মুক্ত জলাশয়ে ২২০মে:টন পোনা অবমুক্তকরণ, ৫৮০ টি বিল নার্সারি স্থাপন এবং ৩৬টি নতুন অভয়াশ্রম স্থাপন করা;
  • মা ইলিশ, জাটকা সংরক্ষণ ও ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ১৬,৩৫০টি মোবাইল কোর্ট/অভিযান পরিচালনা, ১৪০০০ কেজি মানসম্পন্ন রুই জাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন;
  • গবাদি পশুর জাত উন্নয়নে ৪৫ লক্ষ মাত্রা সিমেন উৎপাদন ও ৪১ লক্ষ মাত্রা সম্প্রসারণ, রোগ নিয়ন্ত্রণে ৩২.৫০ কোটি মাত্রা টিকা উৎপাদন ও ৩১.৪০ কোটি মাত্রা প্রয়োগ এবং ৩৮ লক্ষ হাঁস-মুরগির বাচ্চা উৎপাদন;