Wellcome to National Portal
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট

প্রকল্প পরিচালকঃ হাসান আহম্মেদ চৌধুরী

মোবাইল নং: ০১৭১২৫৮১৫৯৯

প্রকল্পের সারসংক্ষেপ

                                                                                                                                                                                                                                                                                                  

১।

প্রকল্পের নাম

:

সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট

২।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা

:

মৎস্য অধিদপ্তর

৩।

অনুমোদিত ব্যয়

(কোটি টাকায়)

:

ক) মোট: 1868.86 কোটি টাকায়

ক) জিওবি: 280.47 কোটি টাকা

খ ) পিএ: 1588.39 কোটি টাকা

 

৪।

প্রকল্প মেয়াদ

:

01 জুলাই 2018 হতে 30 জুন 2023  পর্যন্ত

৫।

অনুমোদনের তারিখ

:

পরিকল্পনা কমিশনের তারিখঃ 01/11/2018

মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক আদেশের তারিখঃ 26/11/2018

৬।

প্রকল্প এলাকা

:

দেশের ৪টি বিভাগের উপকূলীয় 16টি জেলার 75 টি উপজেলা এবং 750টি ইউনিয়ন।

(জেলার নাম: খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা)

৭।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

:

  • সামুদ্রিক একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (EEZ) মৎস্য জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে চিংড়ি, তলদেশীয় এবং ভাসমান প্রজাতির মৎস্যের মজুদ নিরূপন ;
  • সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থার সামর্থ্য বৃদ্ধিপূর্বক বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই মৎস্য মজুদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন;
  • বাণিজ্যিক ও ক্ষুদ্রায়তন মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে অধিকতর কার্যকর পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারী (এমসিএস) পদ্ধতির বাস্তবায়ন;
  • উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, সার্ভিস সেন্টার, মৎস্যবাজার উন্নয়নকরতঃ আহরিত ও উৎপাদিত মৎস্যের ভ্যালু চেইন উৎকর্ষ ও গুণগতমান উন্নয়ন ও অপচয় হ্রাস করা;
  • উপকূলীয় জেলাসমূহে ক্লাস্টার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে বাগদা চিংড়ির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও চিংড়ি রপ্তানী বৃদ্ধি করা;
  • দরিদ্র মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠির নেতৃত্বে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই সহ-ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা এবং বিকল্প জীবিকায়নে সহায়তা করা;
  • উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ এর টেকসই আহরণ ব্যবস্থাপনায় ‘সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা; এবং
  • উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্রসকাটিং ইস্যুর ওপর সমীক্ষা পরিচালনা।

৮।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম

:

পার্ট-০১: মৎস্য খাতে টেকশই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি (মৎস্য অধিদপ্তর পার্ট)

  • বাণিজ্যিক টলারে (১০০টি) ভ্যাসেল মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করে মনিটরিংকে জোরদার করা 
  • যান্ত্রিক নৌকায় (1০,০০০ টি) AIS (Automatic Identification System) সংযোগ করে জেলেদের ঝুঁকি হ্রাস 
  • হাইস্পীড পেট্রোল বোট ১৬টি ক্রয়ের মাধ্যমে সমুদ্রে নিয়মিত Monitoring Control & Surveillance (MCS) কার্যক্রম জোরদার
  • চিংড়ি উৎপাদনে ক্লাষ্টার ব্যবস্থা (600টি, 15000জন প্রান্তিক চিংড়িচাষি) চালুকরণ, ক্লাস্টার বিজনেজ প্ল্যান তৈরি ও ই-ট্রেসিবিলিটি উন্নয়ন, ডাটা বেইজ তৈরী ও আইডি কার্ড প্রদান
  • প্রান্তিক চাষিদেরকে (600টি ক্লাস্টার) কন্ডিশনাল ম্যাচিং গ্রান্ট প্রদান (গড়ে 20% বেশি চিংড়ি উৎপাদ লক্ষ্যমাত্রা) 

 

পার্ট-০২: অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়ন (মৎস্য অধিদপ্তর পার্ট)

  • ১৬টি মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেকপোষ্ট নির্মাণ
  • ১৬টি মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স পন্টুন স্থাপন
  • ১৮টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার/ফিশ হারবার নির্মাণ, ফিশ মার্কেট পুনবার্সন ও আধুনিকায়ন, হার্ভেস্ট লস কমানো
  • ৩টি ফিশ কোয়ারেন্টাইম ল্যাব প্রতিষ্ঠাকরণ
  • ৩টি ফিশ ডায়াগোনেস্টিক ল্যাব প্রতিষ্ঠাকরণ
  • ৩টি পিসিআর ল্যাব নবায়ন/আধুনিকায়ন
  • ১টি Quarantine রেফারেন্স ল্যাব প্রতিষ্ঠাকরণ
  • 1টি ব্রুড (মা-চিংড়ি মাছ) ম্যানেজম্যান্ট সেন্টার (বিএমসি) স্থাপন
  • ১২৯টি উপকূলীয় খাল (৫০০ হেক্টর) পুনবার্সন/খনন

 

পার্ট-০৩: মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও জীবিকায়নে বিকল্প পেশায় রূপান্তর (এসডিএফ পার্ট)

(Social Development Foundation কর্তৃক বাস্তবায়ন-এর জন্য নির্ধারিত)

  • উপকূলীয় ৪৫০টি মৎস্য গ্রামে কমিনিউটি সেভিংস গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা
  • ১০০ মডেল জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা এবং এর মধ্যে থেকে ৬০% সুবিধাভোগীকে অর্থ সহায়তা প্রদান 
  • 100 মডেল জেলে গ্রামে ফিশারিজ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা
  • মডেল গ্রামের ১৮,০০০ যুবক-যুবতীকে ভকেশনাল ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান
  • ১০০ প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি এবং নিবন্ধন করা
  • ৯০টি ইউথ ফেষ্টিভাল প্রোগ্রাম ও ৬টি জব ফেয়ার আয়োজন করা
  • ৪৫টি উপজেলা জেলে ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করা
  • এ কার্যক্রমে সর্বমোট 54,000 জন জেলে সরাসরি সুবিধা পাবে।

পার্ট-০৪: প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা

  • প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১জন প্রকল্প পরিচালক, ৬জন উপ-প্রকল্প পরিচালক (3 জন সদর দপ্তরে, 03জন আঞ্চলিক অফিসে), ২জন নির্বাহী প্রকৌশলী, 3 জন সহকারী প্রকৌশলী ও ৭৮জন মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তাসহ 241 জন কর্মকর্তা/কর্মচারি নিয়োজিত হবেন।
  • ৬টি মোটর গাড়ি ক্রয় করে এবং ১৬ মোটর গাড়ি ভাড়ায় নেওয়ার সংস্থান রয়েছে
  • প্রকল্পটি ঢাকাস্থ মৎস্য ভবন থেকে বাস্তবায়ন করা হবে; উপকূলীয় এলাকায় ৩টি আঞ্চলিক অফিস, ১৬ জেলা অফিস ও ৭৫টি উপজেলা অফিস এই প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

৯।

জুন ২০১৯ পর্যন্ত

ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি

:

১০.৬০ কোটি টাকা (আর্থিক ০.৫৭%)

ভৌত অগ্রগতি ৭%

১০।

চলতি বছরে (২০১৯-২০) বরাদ্দ ও অগ্রগতি

:

বরাদ্দ ২০৮.৫৮ কোটি টাকা

ব্যয়  ১.১০ কোটি টাকা (৩.২৬%) (জিওবি ১.১০ প্রকল্প সাহায্য ০.০০) (ডিসেম্বর/২০১৯ পর্যন্ত)

 

১১।

সমস্যা (যদি থাকে)

:

টেন্ডার/প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটিঃ টেন্ডার/প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটিতে সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট কনসালটেন্ট এর অন্তর্ভূক্তি বিষয়ে বিশ্বব্যাংক এবং মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মতভেদ এর কারণে গত 10 মাস যাবত উক্ত কমিটি অনুমোদিত হচ্ছে না। ফলে পিএমসি ফার্ম, আউটসোর্সিং ফার্ম সহ ১৪৭.১৪ কোটি টাকার ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।  বিষয়টিতে সিপিটিইউ এর সম্মতি পাওয়া গেছে।

গ্রান্ট উইন্ডো ম্যানেজার (আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট) এর সেবা ক্রয়ঃ মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশমতে নির্বাচিত প্রথম ব্যক্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২য় candidate এর সাথে নেগোসিয়েশন বা পুনঃবিজ্ঞাপন প্রদানের বিষয়ে  বিশ্বব্যাংক এর সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চিংড়ি ক্লাস্টার বাস্তবায়নসহ সকল গ্রান্ট বিতরণ (৪০০ কোটি টাকা) কার্যক্রম বাস্তবায়ন অনিশ্চিত  হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এবং তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

ব্যক্তি কনসালটেন্ট এবং কনসাল্টিং ফার্ম এর ToR: ব্যক্তি কনসালটেন্ট এবং কনসাল্টিং ফার্ম এর ToR বিশ্বব্যাংকে অনাপত্তির জন্য প্রেরণ করা হলে বিশ্বব্যাংক দীর্ঘ সময় নিয়ে মতামতসহ প্রকল্প দপ্তরে প্রেরণ করে। সেই সকল মতামত অন্তর্ভূক্ত করে বিশ্বব্যাংক এ পুনরায় ToR পাঠানো হলে বার বার বিভিন্ন মেয়াদের সময় নিয়ে মতামত পাঠানো হয়। এভাবে, প্রতিটি ব্যক্তি কনসালটেন্ট এর ToR অনুমোদন হতে প্রায় ২ মাস এবং কনসাল্টিং ফার্ম এর ToR অনুমোদন হতে প্রায় ৩ মাস সময় লাগে। ফলে ক্রয় প্রক্রিয়া এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।